What Is Psoriasis?
![]() |
সোরিয়াসিসের মাঝারি অবস্থা |
সোরিয়াসিস ত্বকের একটি প্রদাহ, যা চামড়ার উপর আচ্ছাদিত লাল এবং ত্বকের নিচে গুটির মত কুঁচকানো প্যাচ সৃষ্টি করে। সত্যিকার অর্থে সোরিয়াসিস কেন হয় তা কেও নিশ্চিত করতে পারেনি।
এটা একটি এলার্জি? এটা কি সংক্রামক?
এই রোগের কারণ এখনো রহস্য রয়ে গেছে। গবেষণায়য় দেখা গেছে 22 শতাংশ সোরিয়াসিস রুগীর ক্ষেত্রে বংশগত/পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে।
এর মানে হলো আপনার পরিবারের বা বংশগত যদি কারো থেকে থাকে তাহলে সেটা গর্ভাবস্থা থেকে আসতে পারে। এর কারণে পরবর্তী জন্ম নেওয়া শিশু ঝুকিতে থাকতে পারে।
যেমন, খারাপ আবহাওয়া জনিত কারণ, অতিরিক্ত ওজন, মদপান, উদ্বেগ, চাপ, শারীরিক আঘাত জনিত কারণ, নিদ্রিষ্ট ঔষধ সেবন এবং অতিরিক্ত সূর্যালোকের রশ্মির কারণে সোরিয়াসিসের প্রবনতা দেখা দিতে পারে।
অনেকেই মনে করে সোরিয়াসিস সংক্রামক ব্যাধি, এটি আসলে সত্যি নয়।
কিছু ব্যাক্তির মনের উপর খারাপ প্রভাবের কারণে তাদের ত্বকের উপর লাল বর্ণের ছোট ছোট প্যাচগুলি দেখা দেয়। মানে এই ধরণের রোগ নিয়ে চিন্তা ভাবনা বা ঘামাছির মত ত্বকের উপর কিছু দেখে, বড় ধরণের কিছু ভাবা যে কি না কি হবে তা নিয়ে খুব চিন্তা করা থেকেও হতে পারে।
পরবর্তীতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় যখন শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘন ঘন মাপে মাছের আঁশের মত আবৃত করে।
কিছু মানুষের নখের মধ্যে দিয়ে সোরিয়াসিসের বিকাশ ঘঠে। নখের চাড়া গুলো বিকৃত রুপ ধারণ করে।
বিরল ঘঠনা এই যে সোরিয়াসিসের থেকে আর্থ্রাইটিস হতে পারে।
আসলে সোরিয়াসিস কি চামড়ার সাথে?
স্বাভাবিক ভাবেই চামড়ার মাসিক চক্রের মধ্য দিয়ে রুপান্তরিত হয়।
নতুন কোষগুলি মানুষের ত্বকের মধ্যে গভীর ভাবে বৃদ্ধি পায় এবং প্রায় 30 দিনের মধ্যে নতুন কোষগুলি চামড়ার উপরের দিকে চলে আসে।
পুরাতন চামড়ার কোষ একটি রুটিন মাফিক মারা যায়। যখন একটি ব্যক্তির নিত্যদিনের সংঙ্গী হয়ে যায় তখন প্রকৃয়াটি দ্রুতগতিতে বেড়ে যায়।
উপরের লেখা গুলোর ব্যাখ্যা করলে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি তিন বা চার দিনের মধ্যে সঞ্চালিত হয়।
যখন এরকম ঘটবে, তখন আপনার চামড়া পৃষ্টের উপর মৃত কোষ গুলো বাড়িয়ে তুলবে।
সোরিয়াসিস সাধারণত শরীরের বিভিন্ন ভাঁজের মধ্যে ঘটে, যা বেশির ভাগই শরীরের চাপ পড়া স্থানে হয়। যেমন, পেটে, হাতে কণুইতে, পায়ের গিরা, নিতম্ব, পিঠের নিচে, মাথায়, হাত- পা'য়ের নখে, ভ্রু'তে, বুকের পশমের মধ্যে, যৌনাঙ্গে, হাত-পা'য়ের তালুতে, এমন কি শরীরের সব স্থানে প্লাক গুলি দেখা দিতে পারে।
ধন্যবাদন্তে
লেখকঃ ওহাব মাহামুদ শাওন
মাগুরা, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ ০১৭৩৮-২২৬০১৫
ফেইসবুকে আমি
মেইল করুন
ফেইসবুক পেজ লিঙ্ক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন