Home Remedies For Psoriasis
১১. বেকিং সোডা বা খাওয়ার সোডা।
১০ লিটার পানির মধ্যে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশ্রিত করুণ। পানি অনুপাতে বেকিং সোডার পরিমাণ বাড়ান। সোরিয়াসিসের কারণে চুলকানি কমানোর জন্য ত্বকের লাল গুটিতে তুলা দিয়েও এটি প্রয়োগ করতে পারেন।
কয়েক দিন ধরে এই প্রকৃয়াটি চালিয়ে যান।
১২. নারিকেল তেল।
চামড়ার ক্ষতিগ্রস্ত অংশে উষ্ণ নারকেল তেল প্রয়োগ করুন। অন্তত গোসল করার ৩০ মিনিট আগে প্রয়োগ করুন।
নারকেল তেল ত্বকের শুষ্কতা হ্রাস করতে সাহায্য করবে।
১৩. সূর্যমুখী তেল।
ক্যাস্টর অয়েল এবং সূর্যমুখী তেল মিশ্রণ করে সোরিয়াসিস প্রভাবিত ত্বকের উপর প্রয়োগ করতে পারেন।
১৪. হলুদ।
ঘরেয়াভাবে হলুদ সোরিয়াসিসের জন্য কার্যকর ভেষস। এটিতে এন্টিসেপটিক এবং প্রদাহ বিরধী বৈশিষ্ট্য আছে। আপনার খাবারে হলুদ অন্তরভূক্ত করতে পারেন। এটা অভ্যন্তরীণ ভাবে সংক্রমণ নিরাময় করবে।
১৫. সবজী তেল।
এক লিটার পানিতে এক কাপ সবজী তেল জ্বাল করে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি সোরিয়াসিস থেকে দ্রুত ক্রাণ পেতে খনিজ তেল ব্যবহার করতে পারেন।
১৬. আভাকাডো তেল।
আভাকাডো তেল আপনার প্রভাবিত চামড়ার উপর আস্তে আস্তে ম্যাসেজ করুন। ত্বকে জ্বালা ভাব এবং চুলকানি দূর করবে।
এই প্রতিকার আপনার ত্বক কে সূর্যের আলোকরশ্মি থেকে রক্ষা করবে।
১৭. মাছের তেল।
মাছের তেলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা পঙ্গু ও ভঙ্গুর চামড়ার জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার। আপনি মাছের তেলের সাথে সোরিয়াসিসের জন্য বিভিন্ন তেল মিশিয়ে শরীরে ম্যাসেজ করতে পারেন।
বিকল্পভাবে, মাছের তেল ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায় সেটা খেতে পারেন।
১৮. এ্যালোভেরা জেল।
সোরিয়াসিসের জন্য সেরা হোম প্রতিকার এই এ্যালোভেরা জেল। দিনে দুইবার ত্বকে এ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করুন।
প্রায় এক মাস ধরে প্রতিকারটি চালিয়ে যান।
১৯. রসুন।
প্রতিদিন খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেতে পারেন। এটি সোরিয়াসিসের জন্য ভাল প্রকৃতিক চিকিৎসা।
আপনার রক্তের সাথে মিশে থাকা বজ্রপদার্থ বের করে দিতে সক্ষম।
২০. নিম বা নিম তেল।
নিম তেলের গুণাবলীঃ
নিমকে বলা হয় মহৌষধ। এমনকি আগের দিনে ধারণা করা হতো বাড়ির কাছে নিম গাছ থাকলে রোগ ব্যাধির আক্রমণ অনেক কমে আসে। এমনকি নিম কাঠ দিয়ে তৈরী করা খাটে ঘুমালেও রোগ ব্যাধির আক্রমণ কম হয়। ঐতিহ্যের মত প্রাচীন এই নিমের পাতা ও ফল সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে অগণিত উপায়ে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে আমাদের মুক্তি দিয়ে আসছে। নিম তেল , সাবান, নিম পাতার পেস্ট এমনকি গরম পানিতে নিমের পাতা দিয়ে গোসল করলেও উপকার পাওয়া যায়।
নিমের উপকারের কথা বলতে গেলে তা শেষ হবার নয়। তাই আমরা শুধুমাত্র সোরিয়াসিসে জন্য নিমের তেলের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করবো।
★ সোরিয়াসিস নিরাময়ে নিম তেল
নিম তেলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে সহজে সোরিয়াসিস ও বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। নিম তেল ফ্যাটি এসিডে সমৃদ্ধ যার ফলে তেলটি সহজে ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং সংকোচন-প্রসারণ সহজতর হয়। নিয়মিত নিম তেল ব্যবহার করলে ত্বকের যাবতীয় চর্মরোগ সোরিয়াসিস ও বার্ধক্যজনিত যাবতীয় দাগ দূর করা সম্ভব। নিম তেলে অ্যাসপিরিন জাতীয় উপাদান রয়েছে, যা সোরিয়াসিস হওয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে। ত্বকের লাল ভাব ও সোরিয়াসিসের ক্ষত থেকে ব্যথা হলে নিমের তেল তা সারিয়ে তোলে। নিম তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে সোরিয়াসিস প্রতিকার ও প্রতিরোধ করে। তবে, বংশগত কারণে কারও সোরিয়াসিস হলে নিমের তেল তা পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে সক্ষম নাও হতে পারে। ত্বকের ছোট ছোট লালচে দাগ দূর করে। ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন তৈরিতে বাধা দেয়।
★ স্ক্যাল্প সোরিয়াসিস নিরাময়ে
চুলে ও মাথার স্ক্যাল্পে নিয়মিত নিম তেল ব্যবহারের মাধ্যমে সোরিয়াসিস দূর করা সম্ভব। আপনার ব্যবহার করা শ্যাম্পুতে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল মিশান। এবার চুলে শ্যাম্পু মেখে ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। এভাবে আপনার উসকোখুসকো ও প্রাণহীন চুল তার উজ্জ্বল্য ফিরে পেতে পারে। নিয়মিত নিম তেল চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। চুল ভাঙা রোধ করে।
★অন্যান্য
নিম তেল একটি উৎকৃষ্ট মানের অ্যান্টি-সেপটিক। ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য যেসব ঔষধ গ্রহণ করা হয় সেগুলোতে নিমের তেল থাকে।
নিম তেল একটি অত্যন্ত উপকারী উপাদান। ত্বক, চুল ও শরীরের অন্যান্য সাধারণ সমস্যার সমাধান হিসেবে যদি শুধু নিমের তেলের নাম নেয়া হয়, তাহলে তা একেবারেই বাড়াবাড়ি হবে না। নিয়মিত নিম তেল ব্যবহার করলে নিঃসন্দেহে একটি সুস্থ জীবন পেতে পারেন।
(২য় খন্ড)
ধন্যবাদন্তে,
লেখকঃ ওহাব মাহমুদ শাওন
মাগুরা, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ ০১৭৩৮২৬০১৫
ফেইসবুকে আমি
ফেইসবুক পেজ লিঙ্ক
ফেইসবুক গ্রুপ লিঙ্ক