সোরিয়াসিস কেবল একটি সাধারণ চর্ম রোগ নয়।
সোরিয়াসিস একটি ক্রণিক বা দীর্ঘ মেয়াদী চর্মরোগ যাতে আক্রান্ত বিশেষ স্থান থেকে থেকে মাছের আশের মতো রূপালী রঙের চামরা উঠে এবং এই রোগ সাধারণত সারা জীবনই থাকে। এটা অতি প্রাচীন একটা রোগ, খৃষ্ট-জন্মের আনুমানিক ৪০০ বছর পূর্বে হিপোক্রেটস (৪০০-৩৭৭ খৃষ্টপূর্ব) প্রথম সোরিয়াসিস রোগের কথা উল্লেখ করেন। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৩% অর্থাৎ সাড়ে বারো কোটি মানুষ এই রোগে ভুগছে। অতীতে এই রোগকে কেবল একটি চর্ম রোগ মনে করা হতো কিন্তু এখন গবেষনায় প্রমানিত যে সোরিয়াসিস রোগের পেছনে রয়েছে বংশগতি, শরীরের স্বয়ংক্রিয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলা এবং পরিবেশেসহ বহূমাত্রিক কারণ। একই ভাবে এর প্রভাব কেবল ত্বকেই সীমিত থাকে না। এর প্রভাবে সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস, ডায়বেটিস (ইন্সিউলিন রেসিস্টেন্স), স্থুলতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্ত চাপ, মেটাবোলিক সিন্ড্রোম, রক্তে খারাপ চর্বির মাত্রা বেড়ে যাওয়া, রক্ত নালীতে চর্বি জমা (এথেরোস্ক্লেরোসিস), স্ট্রোক, লিভার ডিজিজ (নন-এলকোহোলিক ফেটি লিভার ডিজিজ), ক্রোন্স ডিজিজ বা আলসারেটিভ কোলাইটিস নামক পরিপাক তন্ত্রের রোগ, মানসিক সমস্যা, চোখের ইউভেইটিস নামক রোগ, নিদ্রাকালীন শ্বাসকষ্ট, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) নামক শ্বাসকষ্ট, হারের ক্ষয়রোগ, মদ্যপানে আসক্তি, পার্কিন্সন্স ডিজিজ নামক মস্তিষ্কের রোগ এবং যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি আভ্যন্তরীণ রোগ দেখা দিতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে ত্বক সহ অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ও বেড়ে যায়। সুতরাং সোরিয়াসিসে আক্রান্ত রোগীকে তার ত্বকের রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি শরীরের ভিতরের রোগ গুলোর কোন লক্ষন আছে কিনা তার দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সোরিয়াসিসের খাবার বা ইঞ্জেকশানে মাধ্যমের চিকিৎসায় এই সকল রোগের মাত্রা কমে যেতে পারে বা নিয়ন্ত্রন সম্ভব। সুতরাং সোরিয়াসিসের এই সকল সহরোগ গুলোর চিকিৎসায় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সংলিষ্ট অন্যান্য বিশেষজ্ঞের সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন।
সোরিয়াসিস একটি ক্রণিক বা দীর্ঘ মেয়াদী চর্মরোগ যাতে আক্রান্ত বিশেষ স্থান থেকে থেকে মাছের আশের মতো রূপালী রঙের চামরা উঠে এবং এই রোগ সাধারণত সারা জীবনই থাকে। এটা অতি প্রাচীন একটা রোগ, খৃষ্ট-জন্মের আনুমানিক ৪০০ বছর পূর্বে হিপোক্রেটস (৪০০-৩৭৭ খৃষ্টপূর্ব) প্রথম সোরিয়াসিস রোগের কথা উল্লেখ করেন। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৩% অর্থাৎ সাড়ে বারো কোটি মানুষ এই রোগে ভুগছে। অতীতে এই রোগকে কেবল একটি চর্ম রোগ মনে করা হতো কিন্তু এখন গবেষনায় প্রমানিত যে সোরিয়াসিস রোগের পেছনে রয়েছে বংশগতি, শরীরের স্বয়ংক্রিয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলা এবং পরিবেশেসহ বহূমাত্রিক কারণ। একই ভাবে এর প্রভাব কেবল ত্বকেই সীমিত থাকে না। এর প্রভাবে সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস, ডায়বেটিস (ইন্সিউলিন রেসিস্টেন্স), স্থুলতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্ত চাপ, মেটাবোলিক সিন্ড্রোম, রক্তে খারাপ চর্বির মাত্রা বেড়ে যাওয়া, রক্ত নালীতে চর্বি জমা (এথেরোস্ক্লেরোসিস), স্ট্রোক, লিভার ডিজিজ (নন-এলকোহোলিক ফেটি লিভার ডিজিজ), ক্রোন্স ডিজিজ বা আলসারেটিভ কোলাইটিস নামক পরিপাক তন্ত্রের রোগ, মানসিক সমস্যা, চোখের ইউভেইটিস নামক রোগ, নিদ্রাকালীন শ্বাসকষ্ট, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) নামক শ্বাসকষ্ট, হারের ক্ষয়রোগ, মদ্যপানে আসক্তি, পার্কিন্সন্স ডিজিজ নামক মস্তিষ্কের রোগ এবং যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি আভ্যন্তরীণ রোগ দেখা দিতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে ত্বক সহ অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ও বেড়ে যায়। সুতরাং সোরিয়াসিসে আক্রান্ত রোগীকে তার ত্বকের রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি শরীরের ভিতরের রোগ গুলোর কোন লক্ষন আছে কিনা তার দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সোরিয়াসিসের খাবার বা ইঞ্জেকশানে মাধ্যমের চিকিৎসায় এই সকল রোগের মাত্রা কমে যেতে পারে বা নিয়ন্ত্রন সম্ভব। সুতরাং সোরিয়াসিসের এই সকল সহরোগ গুলোর চিকিৎসায় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সংলিষ্ট অন্যান্য বিশেষজ্ঞের সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন।