শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ঘরে বসেই নখের সোরিয়াসিসকে বিদায় জানান

Home Remedies for Nail Psoriasis

১. আপনার নখ ছোট করে ছাঁটায় করুন। ঠান্ডা আবহাওয়াতে বাহিরে কাজ করা, রান্না করার সময় এবং রাসায়নিক কোন বস্তুতে হাত লানোর সময় হাতে গ্লাভস ব্যবহার করুন।

২. নখ সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে নখ যাতে শুস্ক থাকে  এবং সব সময় বায়ু চলাচল করতে পারে।

৩. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার কুসুম গরম পানির মধ্যে দিয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। ১ মাস পর্যন্ত। রাতে নারিকেল তেল ম্যাসেজ করা যেতে পারে।

৪. ইপ্সাম লবণ, মৃত সাগর লবণ, বোরন লবণ এবং হলুদ কুসুম গরম পানিতে দিয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।

৫. চা গাছের তেল নিয়মিত নখের উপর ম্যাসেজ করুন। ভাল ফলাফল পেতে পারেন।

৬. রসুনের কোয়া ঘষুন নিয়মিত। প্রয়োজনে রসুন তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৭. নিয়মিত আদা খেতে হবে বা নখে ব্যবহার করতে হবে।

৮. এ্যালোভেরা জেল নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। ভাল ফলাফলের জন্য মাঝে মঝে এ্যালোভেরা জুস পান করুন।

৯. স্টেরয়েড ক্রিম বা ইনঞ্জেসন এবং ভিটামিন (ডি-D) ক্রিম ব্যবহার করে নখের সোরিয়াসিস মোকাবিলা করতে পারেন।

১০. নখে সব সময় রঙ করে রাখুন। বিশেষত মেহেদী পাতা দিয়ে নিয়মিত রঙ করবেন।

লেখক: ওহাব মাহমুদ শাওন
মাগুরা, বাংলাদেশ
ফোন: ০১৭৩৮-২২৬০১৫
==================

আমাদের সোশ্যাল অন্যান্য  লিঙ্ক গুলো:




ফেইসবুকে আমি

★মেইল: psoriasisbd@gmail.com

ধন্যবাদ 😊

শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৭

ঘরে বসেই সেরিয়াসিসকে বিদায় জানান

Home Remedies For Psoriasis


১১. বেকিং সোডা বা খাওয়ার সোডা।

১০ লিটার পানির মধ্যে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশ্রিত করুণ। পানি অনুপাতে বেকিং সোডার পরিমাণ বাড়ান। সোরিয়াসিসের কারণে চুলকানি কমানোর জন্য ত্বকের লাল গুটিতে তুলা দিয়েও এটি প্রয়োগ করতে পারেন।
কয়েক দিন ধরে এই প্রকৃয়াটি চালিয়ে যান।

১২. নারিকেল তেল।

চামড়ার ক্ষতিগ্রস্ত অংশে উষ্ণ নারকেল তেল প্রয়োগ করুন। অন্তত গোসল করার ৩০ মিনিট আগে প্রয়োগ করুন।
নারকেল তেল ত্বকের শুষ্কতা হ্রাস করতে সাহায্য করবে।

১৩. সূর্যমুখী তেল।

ক্যাস্টর অয়েল এবং সূর্যমুখী তেল মিশ্রণ করে সোরিয়াসিস প্রভাবিত ত্বকের উপর প্রয়োগ করতে পারেন।

১৪. হলুদ।

ঘরেয়াভাবে হলুদ সোরিয়াসিসের জন্য কার্যকর ভেষস। এটিতে এন্টিসেপটিক এবং প্রদাহ বিরধী বৈশিষ্ট্য আছে। আপনার খাবারে হলুদ অন্তরভূক্ত করতে পারেন।  এটা অভ্যন্তরীণ ভাবে সংক্রমণ নিরাময় করবে।

১৫. সবজী তেল।

এক লিটার পানিতে এক কাপ সবজী তেল জ্বাল করে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি সোরিয়াসিস থেকে দ্রুত ক্রাণ পেতে খনিজ তেল ব্যবহার করতে পারেন।

১৬. আভাকাডো তেল।

আভাকাডো তেল আপনার প্রভাবিত চামড়ার উপর আস্তে আস্তে ম্যাসেজ করুন। ত্বকে জ্বালা ভাব এবং চুলকানি দূর করবে।
এই প্রতিকার আপনার ত্বক কে সূর্যের আলোকরশ্মি থেকে রক্ষা করবে।

১৭. মাছের তেল।

মাছের তেলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা পঙ্গু ও ভঙ্গুর চামড়ার জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার। আপনি মাছের তেলের সাথে সোরিয়াসিসের জন্য বিভিন্ন তেল মিশিয়ে শরীরে ম্যাসেজ করতে পারেন।
বিকল্পভাবে, মাছের তেল ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায় সেটা খেতে পারেন।

১৮. এ্যালোভেরা জেল।

সোরিয়াসিসের জন্য সেরা হোম প্রতিকার এই এ্যালোভেরা জেল। দিনে দুইবার ত্বকে এ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করুন।
প্রায় এক মাস ধরে প্রতিকারটি চালিয়ে যান।

১৯. রসুন।

প্রতিদিন খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেতে পারেন। এটি সোরিয়াসিসের জন্য ভাল প্রকৃতিক চিকিৎসা।
আপনার রক্তের সাথে মিশে থাকা বজ্রপদার্থ বের করে দিতে সক্ষম।

২০. নিম বা নিম তেল।

নিম তেলের গুণাবলীঃ

নিমকে বলা হয় মহৌষধ। এমনকি আগের দিনে ধারণা করা হতো বাড়ির কাছে নিম গাছ থাকলে রোগ ব্যাধির আক্রমণ অনেক কমে আসে। এমনকি নিম কাঠ দিয়ে তৈরী করা খাটে ঘুমালেও রোগ ব্যাধির আক্রমণ কম হয়। ঐতিহ্যের মত প্রাচীন এই নিমের পাতা ও ফল সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে অগণিত উপায়ে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে আমাদের মুক্তি দিয়ে আসছে। নিম তেল , সাবান, নিম পাতার পেস্ট এমনকি গরম পানিতে নিমের পাতা দিয়ে গোসল করলেও উপকার পাওয়া যায়।

নিমের উপকারের কথা বলতে গেলে তা শেষ হবার নয়। তাই আমরা শুধুমাত্র সোরিয়াসিসে জন্য নিমের তেলের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করবো।

★ সোরিয়াসিস নিরাময়ে নিম তেল

নিম তেলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে সহজে সোরিয়াসিস ও  বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। নিম তেল ফ্যাটি এসিডে সমৃদ্ধ যার ফলে তেলটি সহজে ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং সংকোচন-প্রসারণ সহজতর হয়। নিয়মিত নিম তেল ব্যবহার করলে ত্বকের যাবতীয় চর্মরোগ সোরিয়াসিস ও বার্ধক্যজনিত যাবতীয় দাগ দূর করা সম্ভব। নিম তেলে অ্যাসপিরিন জাতীয় উপাদান রয়েছে, যা সোরিয়াসিস হওয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে। ত্বকের লাল ভাব ও সোরিয়াসিসের ক্ষত থেকে ব্যথা হলে নিমের তেল তা সারিয়ে তোলে। নিম তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে সোরিয়াসিস প্রতিকার ও প্রতিরোধ করে। তবে, বংশগত কারণে কারও সোরিয়াসিস হলে নিমের তেল তা পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে সক্ষম নাও হতে পারে। ত্বকের ছোট ছোট লালচে দাগ দূর করে। ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন তৈরিতে বাধা দেয়।

★ স্ক্যাল্প সোরিয়াসিস নিরাময়ে

চুলে ও মাথার স্ক্যাল্পে নিয়মিত নিম তেল ব্যবহারের মাধ্যমে সোরিয়াসিস দূর করা সম্ভব। আপনার ব্যবহার করা শ্যাম্পুতে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল মিশান। এবার চুলে শ্যাম্পু মেখে ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। এভাবে আপনার উসকোখুসকো ও প্রাণহীন চুল তার উজ্জ্বল্য ফিরে পেতে পারে। নিয়মিত নিম তেল চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। চুল ভাঙা রোধ করে।

★অন্যান্য

নিম তেল একটি উৎকৃষ্ট মানের অ্যান্টি-সেপটিক। ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য যেসব ঔষধ গ্রহণ করা হয় সেগুলোতে নিমের তেল থাকে।

নিম তেল একটি অত্যন্ত উপকারী উপাদান। ত্বক, চুল ও শরীরের অন্যান্য সাধারণ সমস্যার সমাধান হিসেবে যদি শুধু নিমের তেলের নাম নেয়া হয়, তাহলে তা একেবারেই বাড়াবাড়ি হবে না। নিয়মিত নিম তেল ব্যবহার করলে নিঃসন্দেহে একটি সুস্থ জীবন পেতে পারেন।

(২য় খন্ড)

ধন্যবাদন্তে,
লেখকঃ ওহাব মাহমুদ শাওন
মাগুরা, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ ০১৭৩৮২৬০১৫

ফেইসবুকে আমি
ফেইসবুক পেজ লিঙ্ক
ফেইসবুক গ্রুপ লিঙ্ক

মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭

সোরিয়াসিসের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার

            Home Remedies For Psoriasis 

Home Remedies For Psoriasis 

১. অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ

সোরিয়াসিস থেকে ক্রান পেতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উপর অ্যাপেল সিডার ভািনেগার প্রয়োগ করুন।
স্ক্যাল্প সোরিয়াসিসের জন্য, আপনি হালকা উষ্ণ গরম পানির মধ্যে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে পাতলা প্রলেপটি মাথায় ঢালুন। কয়েক মিনিটের জন্য এটি হালকা ভাবে ঘষুন এবং কিছু সময় পর এটি বন্ধ করে দিন।  পরে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ত্বকে অ্যাসিডিতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে সোরিয়াসিসের লক্ষন হ্রাস করে।

নোটঃ
★ যদি আপনার স্ক্যাল্পের ত্বকে রক্তপাত বা ফাটল হয় তাহলে এই প্রতিকারটি ব্যবহার করবেন না।
★ আপনার ত্বকে যদি জ্বালা-পোড়া ভাব অনুভব করেন তাহলে এর সরাসরি প্রয়োগ বন্ধ করুন এবং বেশি করে পানি দিয়ে তারপর ব্যবহার করুন।

২. ইম্পসাম লবণঃ

এটি আপনার গোসলের পানির মধ্যে দিন, পানিটি যেন উষ্ণ গরম হয়।
সোরিয়াসিসের জন্য এটি কার্যকর প্রতিকার।
এছাড়া ইম্পসাম লবণের খনিজ গুলি শুস্ক রুক্ষ ত্বকে নরম ও মসৃণ করে তোলে।

নোটঃ
★ইম্পসাম লবণ দিয়ে গোসল করার পর আপনার ত্বকে মস্সারাইজার ব্যবহার করুন।

৩. বাদাম তেলঃ

সোরিয়াসিসের উপসর্গ গুলির জন্য ত্বকে কাঁচা বাদাম তেল প্রয়োগ করুন।এটি আপনার মৃত চামড়ার কোষ অপসারণ এবং গভীর ত্বকের Moisturizes করে।

৪. কলার খোঁসাঃ

কলা গোড়ার দিক দিয়ে ছুলুন এবং আপনার ত্বকে ঘষুন। এটি আপনার ত্বকের জ্বালা পোড়া ভাব কমাবে এবং ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করবে।

৫. ক্যাস্টর অয়েলঃ

ক্যাস্টর অয়েল বা বেন্নার তেল আপনার ত্বকে প্রয়োগ করুন। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য কিছু বেকিং সোডা ও সরিষার তেলের মিশ্রণ নিন।

নোটঃ
★ফাটল ত্বকে এটা ব্যবহার করবেন না।

৬. রসুনের তেলঃ

এটি প্লেক সোরিয়াসিসের জন্য সবচেয়ে ভাল প্রাকৃতিক চিকিৎসা।  ভ্যাসলিনের সাথে কিছু রসুনের তেল নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন।
রসুনের তেলটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের বৈশিষ্ট।  সংক্রামণের জন্য এটি নিখুঁত ভাবে কাজ করে।

৭. কালো মরিচঃ

কালো মরিচে ক্যাপাসিটিন নামক যৌগ থাকে যার ফলে সোরিয়াসিস এর কারণে ব্যাথা এবং চুলকানি হ্রাস করতে সাহায্য করে।

৮. অলিভ অয়েলঃ

এটি স্ক্যাল্পা সোরিয়াসিসের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা। ভঙ্গুর ফোসকা স্ক্যাল্পে কিছু পরিমাণ উষ্ণ গরম অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পরে, নিয়ম মেনে Coal Tar গ্রুপের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।  অথবা, রাতে মাথায় ভেজা ভেজা তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং সকালে তা চিরুনি দিয়ে হালকা ভাবে স্ক্যাল গুলো ফেলে দিন পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

যদি শরীরের অংশে আক্রান্ত হয় তাহলে এক গ্লাস দুধের সাথে দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল যুক্ত করুন এবং ভালভাবে মিশিয়ে নিন।  এখন আপনার গোসলের পানিতে মিশ্রণটি ঢালুন এবং গোসল শেষ করুন। শরীরের সোরিয়াসিস হ্রাস করার জন্য এটি উপকারী।

৯. করলার জুসঃ

করলা শরীরের সোরিয়াসিসের জন্য সব থেকে ভাল এবং সর্বোত্তম প্রাকৃতিক চিকিৎসা।
প্রতিদিন সকালে খালিপেটে এক কাপ করলার জুস পান করুন। স্বাদ বাড়াতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যোগ করতে পারেন। অন্তত 3 মাস ধরে এই প্রতিকারটি চালিয়ে যান।

১০. চা গাছের তেলঃ

চা গাছের তেল সোরিয়াসিস গঠিত লাল বর্ণের গুটির উপর প্রয়োগ করুন।  এটি ভাল ফলাফল দিতে পারে।

নোটঃ
★আপনার শরীরে যদি এ্যালার্জি থাকে তাহলে ব্যবহার করবেন না।

ধন্যবাদন্তে,
লেখকঃ আঃ ওহাব বিশ্বাস (শাওন)
মাগুরা, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ ০১৭৩৮-২২৬০১৫

রবিবার, ২ জুলাই, ২০১৭

সোরিয়াসিস কি?

What Is Psoriasis? 

সোরিয়াসিসের মাঝারি অবস্থা 


সোরিয়াসিস ত্বকের একটি প্রদাহ, যা চামড়ার উপর আচ্ছাদিত লাল এবং ত্বকের নিচে গুটির মত কুঁচকানো প্যাচ সৃষ্টি করে। সত্যিকার অর্থে সোরিয়াসিস কেন হয় তা কেও নিশ্চিত করতে পারেনি।

এটা একটি এলার্জি? এটা কি সংক্রামক?
এই রোগের কারণ এখনো রহস্য রয়ে গেছে। গবেষণায়য় দেখা গেছে 22 শতাংশ সোরিয়াসিস রুগীর ক্ষেত্রে বংশগত/পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে।
এর মানে হলো আপনার পরিবারের বা বংশগত যদি কারো থেকে থাকে তাহলে সেটা গর্ভাবস্থা থেকে আসতে পারে। এর কারণে পরবর্তী জন্ম নেওয়া শিশু ঝুকিতে থাকতে পারে।

আরও যে সমস্ত গবেষণা করা হয়েছে তা সত্ত্বেও ডাক্তারগণ নিশ্চিত নন তবুও বিভিন্ন ধরণের জীবনজাপনের কারণে সোরিয়াসিস হতে পারে।
যেমন, খারাপ আবহাওয়া জনিত কারণ, অতিরিক্ত ওজন, মদপান, উদ্বেগ, চাপ, শারীরিক আঘাত জনিত কারণ, নিদ্রিষ্ট ঔষধ সেবন এবং অতিরিক্ত সূর্যালোকের রশ্মির কারণে সোরিয়াসিসের প্রবনতা দেখা দিতে পারে।

অনেকেই মনে করে সোরিয়াসিস সংক্রামক ব্যাধি, এটি আসলে সত্যি নয়।
কিছু ব্যাক্তির মনের উপর খারাপ প্রভাবের কারণে তাদের ত্বকের উপর লাল বর্ণের ছোট ছোট প্যাচগুলি দেখা দেয়। মানে এই ধরণের রোগ নিয়ে চিন্তা ভাবনা বা ঘামাছির মত ত্বকের উপর কিছু দেখে, বড় ধরণের কিছু ভাবা যে কি না কি হবে তা নিয়ে খুব চিন্তা করা থেকেও হতে পারে।
পরবর্তীতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় যখন শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘন ঘন মাপে মাছের আঁশের মত আবৃত করে।

কিছু মানুষের নখের মধ্যে দিয়ে সোরিয়াসিসের বিকাশ ঘঠে।  নখের চাড়া গুলো বিকৃত রুপ ধারণ করে।

বিরল ঘঠনা এই যে সোরিয়াসিসের থেকে আর্থ্রাইটিস হতে পারে।
আসলে সোরিয়াসিস কি চামড়ার সাথে?
স্বাভাবিক ভাবেই চামড়ার মাসিক চক্রের মধ্য দিয়ে রুপান্তরিত হয়।
নতুন কোষগুলি মানুষের ত্বকের মধ্যে গভীর ভাবে বৃদ্ধি পায় এবং প্রায় 30 দিনের মধ্যে নতুন কোষগুলি চামড়ার উপরের দিকে চলে আসে।
পুরাতন চামড়ার কোষ একটি রুটিন মাফিক মারা যায়।  যখন একটি ব্যক্তির নিত্যদিনের সংঙ্গী হয়ে যায় তখন প্রকৃয়াটি দ্রুতগতিতে বেড়ে যায়।

উপরের লেখা গুলোর ব্যাখ্যা করলে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি তিন বা চার দিনের মধ্যে সঞ্চালিত হয়।
যখন এরকম ঘটবে, তখন আপনার চামড়া পৃষ্টের উপর মৃত কোষ গুলো বাড়িয়ে তুলবে।
সোরিয়াসিস সাধারণত শরীরের বিভিন্ন ভাঁজের মধ্যে ঘটে, যা বেশির ভাগই শরীরের চাপ পড়া স্থানে হয়।  যেমন,  পেটে, হাতে কণুইতে, পায়ের গিরা, নিতম্ব,  পিঠের নিচে, মাথায়, হাত- পা'য়ের নখে, ভ্রু'তে,  বুকের পশমের মধ্যে, যৌনাঙ্গে, হাত-পা'য়ের তালুতে,  এমন কি শরীরের সব স্থানে প্লাক গুলি দেখা দিতে পারে।

ধন্যবাদন্তে
লেখকঃ ওহাব মাহামুদ শাওন
মাগুরা, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ ০১৭৩৮-২২৬০১৫
ফেইসবুকে আমি
মেইল করুন
ফেইসবুক পেজ লিঙ্ক

বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭

সোরিয়াসিস কি?

সোরিয়াসিস কেবল একটি সাধারণ চর্ম রোগ নয়।

সোরিয়াসিস একটি ক্রণিক বা দীর্ঘ মেয়াদী চর্মরোগ যাতে আক্রান্ত বিশেষ স্থান থেকে থেকে মাছের আশের মতো রূপালী রঙের চামরা উঠে এবং এই রোগ সাধারণত সারা জীবনই থাকে। এটা অতি প্রাচীন একটা রোগ, খৃষ্ট-জন্মের আনুমানিক ৪০০ বছর পূর্বে হিপোক্রেটস (৪০০-৩৭৭ খৃষ্টপূর্ব) প্রথম সোরিয়াসিস রোগের কথা উল্লেখ করেন। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৩% অর্থাৎ সাড়ে বারো কোটি মানুষ এই রোগে ভুগছে। অতীতে এই রোগকে কেবল একটি চর্ম রোগ মনে করা হতো কিন্তু এখন গবেষনায় প্রমানিত যে সোরিয়াসিস রোগের পেছনে রয়েছে বংশগতি, শরীরের স্বয়ংক্রিয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলা এবং পরিবেশেসহ বহূমাত্রিক কারণ। একই ভাবে এর প্রভাব কেবল ত্বকেই সীমিত থাকে না। এর প্রভাবে সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস, ডায়বেটিস (ইন্সিউলিন রেসিস্টেন্স), স্থুলতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্ত চাপ, মেটাবোলিক সিন্ড্রোম,  রক্তে খারাপ চর্বির মাত্রা বেড়ে যাওয়া, রক্ত নালীতে চর্বি জমা (এথেরোস্ক্লেরোসিস), স্ট্রোক, লিভার ডিজিজ (নন-এলকোহোলিক ফেটি লিভার ডিজিজ), ক্রোন্স ডিজিজ বা আলসারেটিভ কোলাইটিস নামক পরিপাক তন্ত্রের রোগ, মানসিক সমস্যা, চোখের ইউভেইটিস নামক রোগ, নিদ্রাকালীন শ্বাসকষ্ট, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) নামক শ্বাসকষ্ট, হারের ক্ষয়রোগ, মদ্যপানে আসক্তি, পার্কিন্সন্স ডিজিজ নামক মস্তিষ্কের রোগ এবং যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি আভ্যন্তরীণ রোগ দেখা দিতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে ত্বক সহ অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ও বেড়ে যায়। সুতরাং সোরিয়াসিসে আক্রান্ত রোগীকে তার ত্বকের রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি শরীরের ভিতরের রোগ গুলোর কোন লক্ষন আছে কিনা তার দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সোরিয়াসিসের খাবার বা ইঞ্জেকশানে মাধ্যমের চিকিৎসায় এই সকল রোগের মাত্রা কমে যেতে পারে বা নিয়ন্ত্রন সম্ভব। সুতরাং সোরিয়াসিসের এই সকল সহরোগ গুলোর চিকিৎসায় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সংলিষ্ট অন্যান্য বিশেষজ্ঞের সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন।    

সোরিয়াসিস প্রতিকারক বিভিন্ন তেল

আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা? আমি আপনাদের জন্য সোরিয়াসিস প্রতিকারক অনেক প্রকার তেলের একটা ভিডিও তৈরি করেছি,  ভিডিওর সাথে সোরিয়াসিস নিয়ে সুন্দর একটা গান সেট করেছি।
আশা করি সকলে ভিডিওটা দেখবেন এবং কেমন হলো জানাবেন।
আপনাদের উৎসহ পেলে আরো নতুন কিছু ভিডিও নিয়ে হাজির হতে পারব।
ভিডওটি দেখতে এই লিঙ্কে যান।

বিঃদ্রঃ আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে লাইক এবং স্বাচক্রাইব করার অনুরোধ রইলো।

শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭

সোরিয়াসিস বাংলাদেশ ব্লগে সবাইকে স্বাগতম


Psoriasis Bangladesh-সোরিয়াসিস বাংলাদেশ ব্লগে আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে লিখা, প্রশ্ন বা ছবি শেয়ার করতে পারেন ।আপনি এটাকে
ব্যক্তিগত জায়গা মনে করতে পারেন । (ঠিক যেমন আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের মনে করেন ।) আমরা আপনার প্রশ্ন যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে শুনবো এবং উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ।

-আমরা শুধুমাত্র সোরিয়াসিস রোগ সম্পর্কে আলোচনা করব । আপনার স্ট্যাটাস , প্রশ্ন , প্রেসক্রিপশন, ঔষধ শেয়ার করতে পারেন । - এটি একটি "সার্বজনীন" ব্লগ, কারণ সোরিয়াসিস জাত, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বয়স মানে না ।
 ব্লগের মধ্যে সোরিয়াসিস সম্পর্কে আপনার সব তথ্য শেয়ার করুন যাতে সবাই এটা থেকে
উপকৃত হতে পারেন । দয়াশীল থাকার অনুরধ করছি ! মনে রাখবেন যে, সবাই তাদের যাত্রা একটি ভিন্ন স্থানে শুরু করে , দয়া করে উৎসাহিত করুন
সবাইকে ।

-আপনি যদি অন্য কোনো সদস্যের দ্বারা হয়রানির শিকার হোন, বিশেষত যদি আপনি  কোন পোস্ট বা মন্তব্য আপত্তিকর অবস্থাতে খুঁজে পান, তাহলে অ্যাডমিনদের নিশ্চিত করুন ।

-আমরা আনন্দিত আপনি এখানে আছেন  এবং আশা করি যে আপনি এই ব্লগের  একজন সাহায্যকারী ।

-আপনি আপনার উদ্বেগ জানানোর জন্য
অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।
আমরা এখানে সাহায্য করতে এসেছি!

ধন্যবাদন্তে অ্যাডমিন: Wahab Mahamud Shawon

ফেইসবুকে আমি

মেইল করুন : psoriasisbd@gmail.com